সিরিয়ায় জঙ্গিরা রাসায়নিক অস্ত্র ব্যবহার করে 'অস্ত্রোপচার' ওভারডু সংশোধনকারী ব্যবহার করে

বুধবার, মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর একটি সিরিয়া ভ্রমণ সতর্কতা জারি করেছে, যেখানে এটি লিখেছে যে ইসলামিক স্টেট (সাধারণত আরবিতে আইএসআইএল/আইএসআইএস বা দায়েশ হিসাবে উল্লেখ করা হয়) এবং হায়াত তাহরির আল-শাম সন্ত্রাসীরা, জাভাত আল-এর সাথে যুক্ত।নুসরা সন্ত্রাসী গোষ্ঠী সিরিয়ায় "আত্মঘাতী বোমা, অপহরণ, ছোট ও ভারী অস্ত্র, উন্নত বিস্ফোরক ডিভাইস এবং রাসায়নিক অস্ত্র" ব্যবহার করে।

দামেস্কের কৌশলকে দোষারোপ করে

এর আগে শুক্রবার রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় বলেছিল যে সিরিয়ায় সন্ত্রাসীদের দ্বারা রাসায়নিক অস্ত্র ব্যবহারের কথা যুক্তরাষ্ট্র প্রথমবারের মতো স্বীকার করেছে।

"নতুন ভ্রমণ উপদেষ্টা একটি স্বাগত সংশোধনমূলক," ইতিহাসবিদ এবং মধ্যপ্রাচ্য বিশ্লেষক হেলেনা কোব্বান, সিরিয়ার একজন শীর্ষস্থানীয় বিশেষজ্ঞ স্পুটনিককে বলেছেন।

উপদেষ্টাটিতে ব্যবহৃত শর্তাবলী চার বছরেরও বেশি সময় ধরে একচেটিয়া সরকারী মার্কিন জোরাজুরি পরিত্যাগ করেছিল যে সিরিয়ায় সমস্ত রাসায়নিক হামলার জন্য রাষ্ট্রপতি বাশার আসাদের বৈধ সরকারকে দায়ী করতে হবে, কোব্বান উল্লেখ করেছেন।

সার্জারির  US রাসায়নিক হামলার সমস্ত ব্যবহারের জন্য আসাদ সরকারকে বলির পাঁঠা বানানোর উপর জোর দেওয়া গুরুতর প্রমাণ থাকা সত্ত্বেও অন্যথায় মার্কিন জনগণকে দামেস্ক সরকারের বিরুদ্ধে অব্যাহত সামরিক পদক্ষেপের অনুমোদনের জন্য দৃঢ় শর্ত দিয়েছিল, কোব্বান স্মরণ করেন। এখানে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে বক্তৃতা, যদিও টেলিমেট্রি এবং রাসায়নিক যুদ্ধের বিশেষজ্ঞরা অনেক সময়ে এই দৃষ্টিভঙ্গিকে চ্যালেঞ্জ করেছেন,” তিনি বলেছিলেন।

কোব্বান আরও পর্যবেক্ষণ করেছেন যে নতুন ভ্রমণ উপদেষ্টা কোথাও স্পষ্টভাবে সিরিয়ার সরকারকে রাসায়নিক অস্ত্র ব্যবহারের জন্য অভিযুক্ত করেনি তবে এটি শেষ পর্যন্ত আল-শাম এবং দায়েশ সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর নামে চিহ্নিত করেছে।

"এটি উল্লেখযোগ্য যে 'আইএসআইএস, হায়াত তাহরির আল-শাম, এবং অন্যান্য সহিংস চরমপন্থী গোষ্ঠী' রাসায়নিক অস্ত্র ব্যবহার করার জন্য এই ভ্রমণ পরামর্শে একমাত্র অভিনেতাদেরকে চিহ্নিত করা হয়েছে," তিনি বলেছিলেন।

মার্কিন সরকার এখন আনুষ্ঠানিকভাবে ইসলামপন্থী গোষ্ঠীগুলির রাসায়নিক অস্ত্র ব্যবহারের জন্য তার জ্ঞান এবং প্রমাণাদি জানাতে বাধ্য ছিল রাসায়নিক অস্ত্র নিষিদ্ধকরণ সংস্থাকে, যেটি নেদারল্যান্ডসের রাজধানী দ্য হেগে অবস্থিত, কোব্বান যোগ করেছেন।

ট্রাভেল অ্যাডভাইজরিটি মার্কিন নাগরিকদের লক্ষ্য করা হয়েছে বলে মনে হচ্ছে যারা সিরিয়ার বিরোধী-নিয়ন্ত্রিত অংশে ভ্রমণ করতে চাইতে পারেন, কোব্বান মন্তব্য করেছেন।

তিনি বলেন, উপদেষ্টা "সরকার-নিয়ন্ত্রিত অঞ্চলের বাসিন্দারা বা দর্শনার্থীরা দায়েশ এবং সম্প্রতি-মার্কিন-সমর্থিত বিরোধী বাহিনী থেকে যে হুমকির সম্মুখীন হচ্ছেন সে সম্পর্কে কোনও উল্লেখ নেই," তিনি বলেছিলেন।

মার্কিন সরকারকে এখনও আরও জোরে এবং স্পষ্টভাবে স্বীকার করতে হবে যে ইসলামপন্থী বিদ্রোহীরা এই অস্ত্রগুলি ব্যবহার করছে এবং তাদের নাম দ্বারা নির্দিষ্টভাবে এবং প্রকাশ্যে চিহ্নিত করার জন্য, কোব্বান জোর দিয়েছিলেন।

মার্কিন সর্বদা জানত

মার্কিন সরকার অবশেষে স্বীকার করতে শুরু করেছে যে তাদের সমর্থন করা দলগুলো সিরিয়ায় রাসায়নিক অস্ত্র ব্যবহার করেছে যেখানে ট্রাম্প এবং ওবামা প্রশাসন এই ধরনের হামলার জন্য দামেস্ক সরকারকে দায়ী করতে চেয়েছিল, ইলিনয় বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের অধ্যাপক ফ্রান্সিস বয়েল স্পুটনিককে বলেছেন।

এই নীতিগুলি দামেস্ক সরকারকে পতনের জন্য একটি বৃহত্তর মার্কিন কৌশলের অংশ ছিল যা আন্তর্জাতিক আইনের অধীনে স্পষ্টতই অবৈধ ছিল, বয়েল উল্লেখ করেছেন।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সিরিয়ার সন্ত্রাসী গোষ্ঠীগুলিকে সমর্থন করেছিল "জাতিসংঘের সনদ লঙ্ঘন করে সিরিয়ার সরকারকে উৎখাত করার একটি অবৈধ প্রচেষ্টার অংশ হিসাবে এবং নিকারাগুয়া বনাম মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের (1984-1986) মামলায় বিশ্ব আদালতের রায়গুলি ," সে বলেছিল.

মার্কিন নীতিনির্ধারকদের কোনো সন্দেহ থাকতে পারে না যে তারা যে সন্ত্রাসী গোষ্ঠীগুলোকে অর্থায়ন করছে, সংগঠিত করতে এবং অস্ত্র তৈরি করতে সাহায্য করছে তারা রাসায়নিক অস্ত্র ব্যবহার করছে, বয়েল পর্যবেক্ষণ করেছেন।

“অবশ্যই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সরকার তিনি পুরোপুরি জানেন যে সিরিয়ায় তার কিছু সারোগেট সন্ত্রাসী সংগঠন রাসায়নিক অস্ত্র ব্যবহার করেছে,” তিনি বলেছিলেন।

গত চার বছর ধরে, পরপর মার্কিন প্রশাসন ইচ্ছাকৃতভাবে এবং কুৎসিতভাবে দামেস্ককে রাসায়নিক হামলার জন্য দোষারোপ করেছে যে তারা জানত তাদের নিজস্ব মিত্ররা চালিয়েছে, বয়েল বলেছেন।” ওবামা প্রশাসন এবং এখন ট্রাম্প প্রশাসন উভয়ই দূষিতভাবে তাদের সারোগেটদের রাসায়নিক ব্যবহারকে শোষণ করেছে। সিরিয়ায় সরাসরি মার্কিন সামরিক হস্তক্ষেপকে ন্যায্যতা দেওয়ার জন্য অজুহাত এবং প্রচার হিসাবে অস্ত্র,” তিনি বলেছিলেন।

বয়েল আরও সতর্ক করে দিয়েছিলেন যে এই সপ্তাহের ভ্রমণ উপদেষ্টার গভীরে কবর দেওয়ার পরেও, মার্কিন সরকার ভবিষ্যতে আবার সিরিয়ার সরকারকে রাসায়নিক হামলার জন্য দায়ী করতে পারে যা তারা জানত যে বাস্তবে তার নিজের মিত্রদের দ্বারা পরিচালিত হয়েছিল।

“এটা খুব ভাল আবার ঘটতে পারে। সতর্কতা ইম্পটর!” সে বলেছিল.

আল-নুসরা ফ্রন্ট ছত্রছায়া সন্ত্রাসী গোষ্ঠী আল-শামের মাধ্যমে সিরিয়ার ইদলিব গভর্নরেট নিয়ন্ত্রণ করে এবং এখনও আল-কায়েদার ফ্রন্ট বলে মনে করা হয়।