জাতিসংঘের এক শীর্ষ কর্মকর্তা জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদকে দক্ষিণ সুদানের উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করার জন্য দেশটিতে জাতিগত লাইনের সহিংসতা প্রতিরোধে গণহত্যা প্রতিরোধে আহ্বান জানিয়েছে।
শুক্রবার নিউইয়র্কে গণহত্যা প্রতিরোধে জাতিসংঘের বিশেষ উপদেষ্টা আদমা দেইং কাউন্সিলকে দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণের আহ্বান জানান।
তিনি সতর্ক করে দিয়েছিলেন যে গত সপ্তাহে যুদ্ধবিরোধী দেশ সফরের সময় তিনি "গণহত্যার জন্য পরিবেশের উপযোগী পরিবেশ" দেখেছিলেন।
"আমি এটিকে থামাতে এখন কিছু না করলে জাতিগত ঘৃণা ও নাগরিকদের লক্ষ্যবস্তুতে গণহত্যা গড়ে উঠতে পারে এমন সমস্ত লক্ষণ দেখেছি।
মিঃ ডায়ং বলেন যে দক্ষিণ সুদানের প্রেসিডেন্ট সালভা কির ও তার সাবেক ডেপুটি রিক মখারের মধ্যে একটি রাজনৈতিক শক্তি সংগ্রামের অংশ হিসাবে ডিসেম্বর 2013 এ সংঘটিত দ্বন্দ্বটি একটি সম্পূর্ণ জাতিগত যুদ্ধ হতে পারে।
"দ্বন্দ্ব, যার মধ্যে হাজার হাজার নিহত হয়েছে এবং 2 মিলিয়নেরও বেশি লোক বিতাড়িত হয়েছে, শান্তি চুক্তির ফলে সাময়িক বিরতিতে এসেছিল, যা এপ্রিল মাসে এক ঐক্য সরকার গঠনের দিকে পরিচালিত করেছিল, মখারের ভাইস প্রেসিডেন্ট হিসাবে পুনঃস্থাপন করা হয়েছিল ।
"কিন্তু জুলাই মাসে নতুন করে যুদ্ধ শুরু হয়, শান্তির আশঙ্কা হ্রাস করে এবং মাখারকে দেশ থেকে পালিয়ে যেতে উৎসাহিত করে," বলেছেন তিনি।
মিঃ ডায়ং বলেন যে জাতিগত গোষ্ঠীগুলির মেরুকরণে একটি সংগ্রামরত অর্থনীতি অবদান রেখেছিল, যা পুনর্নবীকরণ সহিংসতার পরে বেড়েছে।
তিনি যোগ করেন যে সুদান পিপলস লিবারেশন আর্মি (এসপিএলএ), সরকারের সাথে যুক্ত একটি বাহিনী, বেশিরভাগই ডিনক জাতিগত গোষ্ঠীর সদস্য হিসাবে "বর্ধিতভাবে জাতিগতভাবে সমান" হয়ে উঠছে।
কর্মকর্তারা আরো বলেন যে অনেকেই ভয় পেয়েছেন যে এসপিএল অন্যান্য গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে নিয়মিত হামলা চালানোর পরিকল্পনা ছিল।
জনাব ডায়ংং কাউন্সিলকে জরুরিভাবে দেশে অস্ত্র নিষেধাজ্ঞা আরোপ করার আহ্বান জানিয়েছিলেন, এই পদক্ষেপে কয়েক মাস ধরে কাউন্সিলের কয়েকজন সদস্য সমর্থিত হয়েছে।
জাতিসংঘের মার্কিন রাষ্ট্রদূত সামান্থ পাওয়ার বলেন, আগামী দিনগুলিতে তিনি অস্ত্র নিষেধাজ্ঞার প্রস্তাব পেশ করবেন।
"এই সংকট বাড়লেও, আমাদের সকলকে এগিয়ে নিয়ে আসা উচিত এবং নিজেদেরকে জিজ্ঞেস করা উচিত যে আদম দিয়ারের সতর্কতা যদি পাস হয় তবে আমরা কেমন বোধ করব।
তিনি বলেন, "আমরা চাই যে আমরা লুণ্ঠনকারী ও অপরাধীদের দায়ী করা এবং অস্ত্রের প্রবাহের সর্বাধিক পরিমাণে সীমাবদ্ধ করার জন্য আমরা যা কিছু করতে পারি তা করতে চাই।"
তবে, পরিষদের ভেটো-উইল্ডিং সদস্য রাশিয়ায় দীর্ঘদিন ধরে এই ধরনের পদক্ষেপের বিরোধিতা করেছেন, বলেছেন যে শান্তি চুক্তির বাস্তবায়ন কার্যকর হবে না।
জাতিসংঘের রাশিয়ার ডেপুটি রাষ্ট্রদূত পিটার ইলিয়াইভিভ বলেছেন, এই বিষয়ে রাশিয়ায়ের অবস্থান অপরিবর্তিত ছিল।
"আমরা মনে করি যে এই ধরনের সুপারিশ বাস্তবায়ন দ্বন্দ্ব নিষ্পত্তি করতে সাহায্য করবে না।
জনাব ইলিয়াইভিভ বলেন যে জাতিসংঘ ও অন্যান্য কাউন্সিল সদস্যদের প্রস্তাবিত রাজনৈতিক নেতাদের লক্ষ্যবস্তু নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা জাতিসংঘ ও দক্ষিণ সুদানের সম্পর্ককে আরও জটিল করবে।
এদিকে, দক্ষিণ সুদানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রী কুওল মিয়ানংকে উদ্ধৃত করা হয়েছে যে, কিররা 750 বিদ্রোহীদের চেয়ে বেশি ক্ষমা পেয়েছে।
তিনি বলেন, বিদ্রোহীরা জুলাইয়ে যুদ্ধে পালিয়ে জুলাই মাসে কঙ্গোতে এসেছিল।
কঙ্গোতে শরণার্থী ক্যাম্প থেকে "যারা ফিরে আসার জন্য প্রস্তুত থাকবে তাদের জন্য রাষ্ট্রপতি একটি ক্ষমা চেয়েছিলেন"।
বিদ্রোহী মুখপাত্র, ডিকসন গাতলাক, এই অঙ্গভঙ্গিটি বাতিল করেছেন, বলেছেন যে শান্তি তৈরির পক্ষে যথেষ্ট নয়।
জনাব গাটলাক বলেন, বিদ্রোহী সৈন্যরা এই সময়ে তিনটি পৃথক হামলায় প্রায় 10 লক্ষ সরকারি সেনা নিহত হয়েছিল, কিন্তু একটি সেনা মুখপাত্র দাবি অস্বীকার করে।
